সিরিজের ৫ম ও শেষ ম্যাচে প্রোটিয়া অনুর্ধ্ব-১৯ দলকে ৩ উইকেটে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ যুবারা। যার ফলে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথম ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের কাছে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগার যুবারা। এরপর তৃতীয় ম্যাচে আবার জয় প্রোটিয়াদের পক্ষে আসে। ২ম্যাচ হেরে পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ।
এরপর শেষ দুই ম্যাচে বাংলাদেশ প্রোটিয়াদের পরাজিত করে। যার ফলে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ ঘরেই রেখে দেয় যুবারা৷
সোমবার (১৭ জুলাই) জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে আদিল এবং চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান মিলে ৪০ রান যোগ করেন। ৭ম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় যুবারা।
সুবিধা করতে পারেননি রিজান হোসেনও। ফিরেছেন ৩ রানে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন আদিল ও আরিফুল। দ্রুত রানা তাড়া করে অর্ধশতক তুলে নেন আদিল। আরেক ব্যাটার আরিফুলও সমানভাবে এগিয়ে অর্ধশতক ছুঁয়েছেন।
হাফ সেঞ্চুরির পর আদিলকে ফেরান জুয়ান জেমস। বেঞ্জামিন ম্যানুয়েল হ্যানসেনকে ক্যাচ দিয়ে ৫৮ রানে ফিরেন আদিল। এটপর উইকেটে থিতু হতে পারেননি নাঈম আহমেদ। জেমসের বলে সুইপ করতে গিয়ে ৮ রানে ফিরেন তিনিও। আরেক আক্রমণাত্মক ব্যাটার শিহাব ফিরেছেন ১৭ রানে।
আশরাফুর জামান ফিরেছেন ৩ রান করে। আরিফুল ৭১ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ দিকে মাহফুজুর রহমান রাব্বি (১৫) এবং রাফি উজ্জামান (৭) মিলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন। প্রোটিয়াদের হয়ে অ্যাল্ডার চারটি এবং জেমস তিনটি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ বল হাতে রেখে ২১০ রানে অল আউট হয় প্রোটিয়ারা। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রানের ইনিংস খেলেছেন ডেভিড টেজার। বাকিদের মধ্যে জেমস ৩২, রিচার্ড ২৭ এবং অ্যাল্ডার ২০ রান করেছেন। বাংলাদেশের হয়ে মাহফুজুর রাব্বি তিনটি উইকেট নেন। রোহানাত বর্ষণ, রিজান এবং রাফি দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন।