তামিম ইকবালের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে বিসিবি নতুন অধিনায়কের খোঁজে নামেন। সময় গড়িয়ে যেতে থাকলেও যার সমাধান হচ্ছিলনা। দুই দফা সময় পিছিয়ে অবশেষে এল সেই সন্ধিক্ষণ। ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব দেওয়া হলো সাকিব আল হাসানের কাঁধে।
সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে আসন্ন এশিয়া কাপ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ দল। শুক্রবার (১১ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়ক নির্বাচন করা হয়েছে তাকে। এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
২০১৭ সালের এপ্রিলে সাকিবকে টি-২০তে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়ার পর তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কের যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশের। আবার ২০২৩ এ এসে সাকিবকে ওয়ানডেতে দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে তিন ফরম্যাটে এক অধিনায়কের যুগ শুরু হলো। তবে তিন ফরম্যাটে তিনি চালিয়ে যাবেন কিনা সে ব্যাপারে আরও বিশদ আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।
আসন্ন এশিয়া কাপ এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিবেন সাকিব। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করে বিসিবি সভাপতি বলেন, “এশিয়া কাপ তারপরে বিশ্বকাপ এত কম সময়ের মধ্যে আমার কাছে মনে হয়েছে সবচেয়ে সহজ এবং অভিয়াস চয়েজটাই হচ্ছে সাকিব আল হাসান। আরেকটা অটো চয়েজ আছে ও না খেললে সাকিব আল হাসান না খেললে সহ-অধিনায়ক যে আছে, সে হবে; লিটন দাস। আরও নাম এসেছে। যেমন মেহেদী হাসান মিরাজ, লম্বা সময় যদি আমরা চিন্তা করি ভবিষ্যতে কী হবে। কারণ এখন তো ধরেন মুশফিক করছে না, তামিমও ছেড়ে দিলো, সাকিবও যদি কখনো ছেড়ে দেয় তখন কী হবে। ওরকম লম্বা সময় যখন চিন্তা করবো তখন আরও নাম আসবে।”
বেশ কদিন যাবৎ অধিনায়ক সমস্যা নিরসন নিয়ে আলোচনা চলছিল। বেশ কয়েকজনের নামও উঠে এসেছে এতে। বিসিবির গত বৈঠক শেষে জালাল ইউনুস বলেন, সাকিবের সাথে আলোচনা আছেন লিটন এবং মিরাজ। তাদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সব ছাপিয়ে সম্ভাবনা অবশ্য সাকিবের দিকেই বেশি ছিল। অবশেষে হলোও তাই।
প্রথম দফা নেতৃত্ব পাওয়ার পর দুবছর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব। ২০১১ সালের পর দীর্ঘদিন নেতৃত্বে ছিলেন না তিনি। ২০১৭ সালে টি-২০ ফরম্যাটে নেতৃত্ব পেয়ে আবারও জাতীয় দলের নেতৃত্বে আসেন তিনি। একই বছরে টেস্টের অধিনায়কত্বও পান।
মাঝে নিষেধাজ্ঞায় দলের বাইরে থাকলেও আবার ফিরেন ২০২২ সালে। এরপর আবার নেতৃত্বে ফিরেন তিনি। এবার ওয়ানডে ফরম্যাটেও নেতৃত্বের দায়িত্ব পেলেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। নেতৃত্ব পাওয়ার পরপরই এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ দুটি মেগা ইভেন্টের দায়িত্ব পড়েছে তার কাঁধে।