বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে জোড়া শতকের ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটে পরাজিত করেছে নিউজিল্যান্ড। ২৮৯ রানের ব্যাট করতে নেমে বেশ ভালো চমক উপহার দিয়েছে কিউইরা।
প্রথম শতকটি আসে ডেভন কনওয়ের ব্যাটে। শতক তুলে নিয়েই শূন্যে লাফিয়ে উদযাপন করেন এই ব্যাটার। সতীর্থরা বাউন্ডারি লাইন থেকে সাধুবাদ জানাচ্ছিলেন তাকে। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ, আর প্রথম ম্যাচেই শতক তাও ওপেনারের ব্যাট থেকে। দিনটা যেন আজ নিউজিল্যান্ডের ছিল।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে খুব দ্রুত প্রথম উইকেট হারায় কিউইরা। স্যাম কারানের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরেন উইল ইয়াং। ক্রিজে নামানো হয় রাচিব রবীন্দ্রকে। দলের ভরসা মিথ্যে হতে দেননি রবীন্দ্র। নিজের প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই নিজের প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন।
দুই ব্যাটারের শতক আর দুর্দান্ত কম্বিনেশনে জয় তুকে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। খুব নেশি খরুচেও ছিলেন না রাচিন। মাত্র ৮২ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের স্বাদ পান নিজের প্রথম বিশ্বকাপে। সেই সাথে এটি নিউজিল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম শতকও।
শেষ দিকে ১৫২* রানে অপরাজিত ছিলেন কনওশে। এবং ১২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন রবীন্দ্র।
শুরুতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে যায় ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের প্রথম বাউন্ডারিটি আসে জনি বেয়ারস্টোর ব্যাটে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই। শুরুটা ভালো করলেও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ইনিংস বড় হয়নি ইংল্যান্ডের। যিও মাঝখানে ইনিংস তিনশো ছড়িয়ে যাবে মনে হলেও ইনিংস থেমেছে মাত্র ২৮২ রানে।
ওপেনিং জুটি ভাঙেন হ্যানরি নিকোলস। তার বলে আউট হয়ে ১৪ রানেই ফিরেন মালান। এরপর বেয়ারস্টোও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকেননি। তাকে ফেরান মিচেল স্যান্টনার। এরপর ব্রুক এবং মঈন ফিরেন ২৫ ও ১১ রান করে। চাপে থাকা দলকে একপাশ থেকে তখনও আগলে রেখেছিলেন জো রুট। ৮৬ বলে ৭৭ রানেট ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর জস বাটলারের ৪৩ রান বাদে উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলেননি কেউ। বাকিরা দুই অঙ্কের ঘর পেরোলেও ২০ রানের ঘর পেরুতে পারেননি। দলের হয়ে ম্যাট হ্যানরি ৩ উইকেট নেন।