টানা তিনহারে পয়েন্ট টেবিলের তলানীতে পড়ে গেছিল লঙ্কানরা। ডাচদের বিপক্ষে ম্যাচেও ডাচদের এপ্রোচ দেখে মনে হয়েছিল এবারও বোধহয় হারতে হবে। তবে সবকিছু ছাড়িয়ে ঠিকই ডাচদের পরাজিত করে পয়েন্ট তালিকায় নিজেদের অবস্থার উন্নতি করেছে লঙ্কানরা।
কাসুম রাজিথার দুর্দান্ত বোলিং আর ব্যাটিংয়ে সামারাবিক্রমার অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংস লঙ্কানদের জয়ে সাহায্য করেছে৷ জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি লঙ্কানদের। একের পর এক উইকেট হারাতে শুরু করেছিল। পেরেরা,মেন্ডিস যাওয়ার পর নিশাঙ্কাও সামারাবিক্রমা জুটি গড়লেও বেশিক্ষণ টিকেনি এই জুটি।
এরপর আসালঙ্কা এসে বিক্রমাকে সঙ্গ দেন। সাথে ধনাঞ্জয়ার ৩০ রানের ক্যামিও আর শেষ দিকে দুশান হেমান্তকে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন সামারাবিক্রমা। দলের হয়ে আরিয়ান ৩ উইকেট এবং মিকিরেন ও আকারম্যান ১টি করে উইকেট নেন।
শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ডাচরা। ব্যাটিলয়ো নেমে শতরানের মাঝেই ৬ উইকেট হারায় ডাচরা। এরপর বড় জুটি গড়েন এঙ্গেলব্রেকট ও ভ্যান বিক। দুজনে মিলে রেকর্ড জুটি গড়ে ডাচদের ইনিংস বড় করেন। দু’জনের ব্যাটে অর্ধশতক আসে। এরপর যদিও বাকিরা তেমন কিছু করতে পারেননি। ডাচদের ইনিংস থামে ২৬২ রানে।
লঙ্কানদের হয়ে চারটি করে উইকেট নেন রাজিথা ও মাদুশঙ্কা। ১টি উইকেট নেন থিকসানা।
অপরম্যাচে, বিগত ম্যাচ হারার পর মরিয়া ছিল প্রোটিয়ারা। আর এই ম্যাচে জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন হেনরিখ ক্লাসেন এবং মার্কো জেনসেন। দুজনের ব্যাটিং ঝড়ে পাহাড়সম পুঁজি পায় প্রোটিয়ারা।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। ব্যাট করতে নেমে ক্রিজে ভালোভাবে দাঁড়াতেই পারছিলেন না ইংলিশ ব্যাটাররা। প্রোটিয়া বোলারদের বোলিংয়ের সামনে সবাই পরাস্ত হয়ে ফিরছিলেন একে একে। শুধু মাত্র আটকিনসন এবং মার্ক উডের ব্যাটে ৩০+ রান এসেছে। বাকিরা সবাই ফিরেছেন বিশের ঘর পেরোনোর আগেই। প্রোটিয়ারা ২২৯ রানের বড় জয় পায়।
শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুতই রিচ টপলির আঘাতে কক ফিরেন। এরপর দলের হাল ধরেন হেনড্রিকস ও ভ্যান ডার ডাসেন।এই জুটিতে দলীয় রান একশো পেরোয়। অর্ধশতক করে ডাসেন ফিরেন। শতকের কাছে গিয়ে ফিরেন হেনড্রিকসও। ক্রিজে নেমে ভালো খেললেও অর্ধশতক পাননি মার্করাম। রান পাননি মিলার। এরপর জানসেনকে নিয়ে শুরু হয় ক্লাসেনের বিধ্বংসী ইনিংস। ক্লাসেনের ব্যাটে শতক আসে। যদিও শতক মিস করেছেন জানসেন। বাকিরা যদিও রান পায়নি৷ তবে প্রোটিয়ারা ৩৯৯ রানের বড় সংগ্রহ পায়।
ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন টপলি।