বিজয়ের মাসে আরও একটি অর্জন। যা পুরো বাংলাদেশ ক্রিকেটাঙ্গনের জন্য বেশ গর্বের। প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। আইসিসির বার্ষিক নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষে এলিট প্যানেলে সুযোগ পেলেন ৪৭ বছর বয়সী সৈকত।
আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার—ক্রিকেট ওয়াসিম খান (চেয়ারম্যান), সাবেক খেলোয়াড় ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, নিউজিল্যান্ডের সাবেক আম্পায়ার টনি হিল এবং কনসালট্যান্ট অফিসিয়েটিং এক্সপার্ট মাইক রিলেকে নিয়ে গঠিত সিলেকশন প্যানেল কর্তৃক যাচাই বাছাইয়ের পর এমিরেটস আইসিসি ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল থেকে শরফুদ্দৌলাকে এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়।
৪৭বছর বয়সী সৈকত ২০০৬ সাল থেকে আন্তর্জাতিক প্যানেলে আম্পায়ার হিসেবে যুক্ত আছেন। ২০১০ সালে
মিরপুরে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে অফিশিয়াল হিসেবে যাত্রা শুরু করেন।
দীর্ঘ সময়ের আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারকে গৌরবান্বিত করে এর আগে ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন সৈকত। সেখানে তিনি বেশ ভালো কিছু সিদ্ধান্ত দিয়ে নজরে এসেছিলেন। এরপর বিদেশের মাটিতে একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পান।
এ পর্যন্ত তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুরুষদের ক্রিকেটে ১০টি টেস্ট ম্যাচ, ৬৩ ওয়ানডে এবং ৪৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন। মেয়েদের ক্রিকেটে ১৩ ওয়ানডে ম্যাচ এবং ২৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পুরুষদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে ১০০টি ম্যাচ পরিচালনা করার মাইলফলকও অতিক্রম করেছেন তিনি। ছেলেদের বিশ্বকাপের পাশাপাশি নারী বিশ্বকাপেও তিনি আম্পায়ারিং প্যানেলে ছিলেন।
নিজের কৃতিত্বে আনন্দিত হয়ে সৈকত বলেন- “আইসিসির এলিট প্যানেলে যুক্ত হওয়া আমার জন্য বেশ গৌরবের। আমার দেশ থেকে প্রথম হিসেবে প্যানেলে আসাটা আরও বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে। এবং আমি আমার প্রতি আস্থা রাখার প্রতিদান দিতে তৈরি আছি। বিগত বছরগুলোতে আমার বেশ অনেকগুলো অভিজ্ঞতা হয়েছে। এবং আমি আরও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। আমি বিসিবি এবং আইসিসির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমাকে সহযোগিতা করার জন্য এবং আমার সকল সহকর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমাকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য। আমি একই সাথে আমার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার পাশে থেকে সাহস জোগানোর জন্য।”
আইসিসি এলিট প্যানেলর সকল আম্পায়ারগণ: কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), ক্রিস্টোফার গ্যাফফানি (নিউজিল্যান্ড), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা), রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কেটেলবরো (ইংল্যান্ড), নীতিন মেনন (ভারত), এহসান রাজা (পাকিস্তান), পল রাইফেল (অস্ট্রেলিয়া), শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত (বাংলাদেশ), রড টাকার (অস্ট্রেলিয়া), জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
এছাড়াও আইসিসি ম্যাচ রেফারির এলিট প্যানেলেও পরিবর্তন এসেছে। ৭জনের প্যানেল থেকে একজন কমে ৬জনে এসেছে। ক্রিস ব্রডকে প্যানেলে রাখা হয়নি।
আইসিসির ম্যাচ রেফারির এলিট প্যানেল: ডেভিড বুন (অস্ট্রেলিয়া), জেফ ক্রোয়ে( নিউজিল্যান্ড), রঞ্জন মাধুগাল্লে( শ্রীলঙ্কা), এন্ড্রু পাািক্রফ্ট( জিম্বাবুয়ে), রিচি রিচার্ডসন( ওয়েস্ট ইন্ডিজ), জাভাগাল শ্রীনাথ( ভারত)