
ক্রিকেট কারও কাছে বিনোদন, কারও কাছে হাসির খোরাক। তবে কিছু পাগল আছে, যাদের কাছে ক্রিকেটটা সব রোগের ঔষধ। আর তাই বয়স বা ব্যস্ততার বাঁধা সেখানে কিঞ্চিৎ পরিমাণও ছুঁতে পারে না। এ যেন অদ্ভুত এক আকর্ষণ।
চট্টগ্রামে শুক্রবার (৯ মে) থেকে শুরু হয়েছে ইস্পাহানি চট্টগ্রাম মাস্টার্স টি-২০ ক্রিকেটের ৫ম আসর। আর এতে উদ্বোধনী ম্যাচ থেকেই টানটান উত্তেজনায় উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। প্রথম ম্যাচে ট্রিপল এস মাস্টার্সকে ৬ রানে পরাজিত করেছে হাক্কানী ক্রিকেট ক্লাব।
ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে হাক্কানী ক্রিকেট ক্লাব। ব্যাটিংয়ে নেমে মোরশেদ (৪৩) এবং আলী নওশাদের (৪২) চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে হাক্কানী। দলের পক্ষে টুটুল ২৫ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তবে বাকিরা খুব একটা রানের ধারায় ফিরতে পারেননি।
একটু পর্যালোচনা করলেই দেখা যায়, দলীয় ৪৭ রানের পার্টনারশিপ ভাঙার পর খুব একটা বড় জুটি গড়ে ওঠেনি। যদিও চতুর্থ উইকেটে কিছুটা চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। সবশেষে ১৩৮ রানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় হাক্কানী ক্রিকেট ক্লাবকে।
ট্রিপল এস মাস্টার্সের হয়ে বল হাতে কেবল ইমরান হোসেনের স্পেলটাই উল্লেখযোগ্য ছিল। ৪ ওভার বোলিং করে ১৫ রানে ৪টি উইকেট তুলে নেন তিনি।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে খুব কাছাকাছি গিয়েও হতাশ হয়েছে ট্রিপল এস মাস্টার্স। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রানেই থেমে যায় তাদের ইনিংস।
প্রারম্ভিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, দলীয় ৬ রানেই প্রথম উইকেট হারায় তারা। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাটাররা মোটামুটি ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেন।
দীপুর ৪২ বলে ৪১ রানের ইনিংস দলকে অনেকটা স্বস্তি দিয়েছিল। তবে অন্য দিক থেকে খুব একটা সহযোগিতা পাচ্ছিলেন না তিনি। মাঝপথে আব্দুল আহাদকে নিয়ে জয়ের পথে আগালেও আহাদের ৩২ রানে বিদায় দলকে আবারও হতাশ করে। এরপরের দৃশ্য সবার জানা—একজন করে সবাই ফিরেছেন মোবাইল ডিজিটের স্কোরে।
তাই জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও হতাশ হতে হয় ট্রিপল এস মাস্টার্সকে।
হাক্কানীর হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন ইকবাল হোসেন ও সুলতান আমিন। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্পেল ছিল মোজাম্মেল হোসেনের। তিনি ৪ ওভারে ১৭টি ডট বলসহ মাত্র ১০ রানে ১টি উইকেট শিকার করেন।
ফলে ম্যাচ শেষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া নায়ক হিসেবে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন মোজাম্মেল হোসেন রবিন।